সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জ থেকে ঝালকাঠিতে বেড়াতে এসে হামলার স্বীকার নারী সুভা বেগম(৫৫)। আহত সুভা বেগম গোপালগঞ্জ সদর থানার উলপুর গ্রামের আবুল বশার শেখের স্ত্রী। হামলার ঘটনাটি ১২ অক্টোবর বেলা ৩ টার সময় ঝালকাঠি শহরের রামনগর এলাকায় ঘটে। এ ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় মামলা হলে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সরোয়ার দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে মামলার ২ নং এজাহারভুক্ত আসামী অর্থাৎ আহত সুভা বেগমের মেয়ে ময়নার সতীন চম্পা বেগমকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা গেছে, তিন বছর পুর্বে গোপালগঞ্জের মেয়ে ময়না বেগমের সাথে বিয়ে হয় ঝালকাঠির রামনগরের নুর মোহাম্মদ হাওলাদারের ছেলে মনির হোসেনের সাথে। মনির হোসেন গাজীপুরের মৌচাক এলাকায় একটি ফ্যাক্টরিতে চাকুরি করেন। পরে তাদের ঔরশে একটি কন্যা সন্তান হয়।
এদিকে মনির হোসেনের প্রথম স্ত্রী চম্পা বেগম বিষয়টি টের পেয়ে ঢাকায় গিয়ে মনির হোসেনকে মারধর করে বাড়িতে চলে এসে চম্পা বেগম ঝালকাঠিতে মনির ও তার বাবা নুর মোহাম্মদকে আসামী করে মামলা করে পরে মামলাটি তুলে নিয়ে সতীনের সাথে ঘর সংসারে সম্মত হন কিন্তু লম্পট মনির কিছুদিন গাজীপুরে দ্বিতীয় স্ত্রী ময়না বেগমের সাথে সংসার করে সেখানে বিপুৃল পরিমান টাকা বাকি রেখে দ্বিতীয় স্ত্রী ময়নাকে না জানিয়ে নিজ বাড়ি ঝালকাঠির রামনগরে চলে আসে প্রতারক মনির। ইতিমধ্যে মনিরের দ্বিতীয় স্ত্রী ময়না নিজ পিত্রালয় গোপালগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে চলে এসে অভিভাবকদের জানালে গত শনিবার ঘটনার দিন ময়না বেগম, তার বাবা আবুল বশার ও মা সুভা বেগম রামনগরে আসলে ময়না বেগমের সতীন জেসমিন আক্তার ওরফে চম্পা বেগম একটি ধারালো দাও নিয়া ময়নাকে হত্যার উদ্দ্যেশে কোপ দিলে সেই কোপ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ময়নার মা সুভা বেগমের মাথায় লাগিয়া রক্তাক্ত কাটা জখম হয়।
এ ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় আহত সুভা কেগমের স্বামী আবুল বশার শেখ বাদী একাটি মামলা রুজু করে যার নং-১২। বর্তমানে আহত সুভা বেগম ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Leave a Reply